ভিটামিন ডি’র অভাবই করোনায় মৃত্যুর অন্যতম কারণ!

নিউজ ডেস্ক , আমাদের ভোলা.কম।

করোনাভাইরাসে মৃত্যুহারের সঙ্গে ভিটামিন-ডি’র যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন গবেষকরা। ১০টি দেশ থেকে করোনা রোগীদের বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণের পর এই সিদ্ধান্তে  পৌঁছেছেন তারা। খবর এনডিটিভির।
গবেষকরা দাবি করেছেন, ভিটামিন-ডি ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সূর্যালোকে আমাদের ত্বকে ভিটামিন-ডি সংশ্লেষিত হয়। কিন্তু ত্বক বাঁচাতে অনেকেই গায়ে রোদ লাগাতে চান না। ফলে শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় যে ভিটামিন-ডি থাকা জরুরি, তা থাকে না। এই ঘাটতিই করোনায় মৃত্যু ডেকে আনছে।
এর পেছনে গবেষকদের যুক্তিও রয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইতালি ও স্পেনের লোকজনের শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা খুবই কম। যে কারণে করোনায় এই দু’টি দেশে এত বেশি হারে মৃত্যু হচ্ছে। গবেষকদের কথা অনুযায়ী, কড়া রোদ এড়িয়ে চলায়, এই দেশগুলোতে ত্বকের পিগমেন্টটেশন কমেছে। ফলে ভিটামিন ডি-র সংশ্লেষ আশানুরূপ হচ্ছে না। শরীরে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত মাত্রায় থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  বাড়ে।
এই গবেষণায় জড়িতদের অন্যতম ব্রিটেনের অ্যাংলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-লেখক লি স্মিথ বলেন, গড় ভিটামিন ডি’র মাত্রার সঙ্গে কোভিড-১৯ কেসের একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমরা খুঁজে পেয়েছি। বিশেষত, করোনায় মৃত্যুহারের সঙ্গে। তিনি বলেন, উত্তর ইউরোপের দেশগুলোতে লোকজনের শরীরে ভিটামিন ডি-র গড়মাত্রা ইতালি ও স্পেনের থেকে বেশি। কারণ, সেখানকার লোকজন রোদে বেরোতে দ্বিধা করেন না। আবার কড লিভার ওয়েল, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেন। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর প্রসঙ্গও আসে। যেখানে কোভিড আক্রান্তের হার কম।
গবেষকদের ব্যাখ্যা, প্রবীণদের শরীরে ভিটামিন-ডি’র মাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক কম। ফলে করোনা তাদেরই মৃত্যুহার বেশি।
আগের একটি সমীক্ষার উল্লেখ করে বলেন, হাসপাতাল, কেয়ার হোমের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশই ভিটামিন ডি-র মারাত্মক ঘাটতিতে  ভুগছেন।
স্মিথের কথায়, এখনও জোর দিয়ে বলার সময় আসেনি যে, ভিটামিন ডি’র ঘাটতিই করোনার মৃত্যুহার বাড়ার কারণ। সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আর বিশদ গবেষণার প্রয়োজন।

সূত্র – সমকাল

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।