মনপুরায় স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি।

ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের সিএইচসিপি ফয়সাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছে চিকিৎসা নিতে আসা আমেনা বেগম নামে এক নারী। তিনি মনপুরা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াডের বাসিন্দা। সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে ভুক্তোভুগি নারী গত ১২ মে মনপুরা উপজেলা পরিষদ চেয়্যারমান, উপজেলা র্নিবাহি কর্মকর্তা , উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ,মনপুরা থানার ওসি এবং মনপুরা প্রেস ক্লাব সভাপতি সম্পাদক বরারবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তোভুগি নারী আমেনা বেগমে অভিযোগ বলেন গত ৫ মে সকাল ১১ টার দিকে আমি ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা ও ওষুধের জন্য গেলে ক্লিনিকের সিএইচসিপি ফয়সাল হাওলাদার ওষুধের জন্য সে আমার কাছে টাকা দাবি করে । তখন তাকে আমি বলি আমার কাছে কোন টাকা নেই তখন সে আমাকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। তখন আমি তার এ আচরনের প্রতিবাদ করলে ফয়সাল হাওলাদার সাথে সাথে ক্লিনিকের গেটের দরজা বন্ধ করে আমার গায়ে হাত দেয় ও আমার সাথে জোর জবরদস্তি শুরু করে । তখন আমি সেখান থেকে দৌড়ে আসি চলে আসি এবং উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন কে অবহিত করি। তখন তার পরামর্শ অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় কে জানাই ।

আমেনা বেগম আরো বলেন ফয়সাল হাওলাদার টাকা ছাড়া কাউকে ওষুধ দেয় না। যে টাকা দিতে না পারে তাকে সে কুপ্রস্তাব দেয়। ফয়সাল এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার স্বামীর সাথে সমজোতার অনেক চেস্টা করেছে কিন্তু আমি ফয়সাল হাওলাদার এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি

মনপুরা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা: মাহমুদুর রশিদ বলেন গত ১২ মে আমেনা বেগম নামে এক নারী লিথিত অভিযোগ করেন কিন্তু গতকাল ১৩ মে সে নারী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় । তারপরেও আমরা ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি যে কমিটি ১৮ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এ বিষযে জানতে অভিযুক্ত সিএইচসিপি ফয়সাল হাওলাদারের সাথে মোবাইলে কয়েকবার যোগাযোগের চেস্টা করেও পাওয়া যায় নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।