মনপুরায় বাঁধ ভেঙ্গে ৩ গ্রাম প্লাবিত, শতাধিক বাড়ি-ঘর সহ দোকান বিধ্বস্ত, শতাধিক গবাধি পশুর মৃত্যু
জাফর ইকবাল, আমাদের ভোলা.কম
ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে বাঁধ ভেঙ্গে ৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ২ সহ¯্রাধিক মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ফণীর তান্ডবে উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক বাড়ি-ঘর’সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর ও চরনিজামের নি¤œাঞ্চল এলাকায় ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চর নিজামে শতাধিক গবাধি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরনবী মুঠোফোনে জানিয়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাজিরহাট ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ফকিরের দোন এলাকায় নতুন বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর ও মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়াও হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ওই সমস্ত এলাকায় ২ সহ¯্রাধিক বাসিন্দা পানিবন্ধী হয়ে পড়ে।
এছাড়াও রাতভর ফণীর তান্ডবে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকায় জীন রফিকের বাড়ি, মৎস্য ঘাটের সালাউদ্দিনের মৎস্য আড়ত, রফিকের বাড়ি, হানিফ হাজীর বাড়ি, মালেকের বাড়ি, বাবুল মাতাব্বরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হেলাল উদ্দিনের সেলুন, অফিসার্স ক্লাব, রফিকের বাড়ি, মনপুরা ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চরে কবির বাজারের হাসান পাটোয়ারীর দোকান, গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি, ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরনিজামে মোঃ রফিক, হোসেন, আলমগীর, নবাব, কামরুল, মনজু, সেকান্তর, রাজীব, ইউসুফ, জাহাঙ্গীর ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের মোস্তফা, বাবুল পিটার, হারুনের ঘরসহ ২৯টি ঘর বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে চরনিজামের কৃষক হারুন, সুমন ও বাবুলের শতাধিক ভেড়া ও ছাগলের মৃত্যু হয়। এছাড়াও উপজেলার মাষ্টার হাটের পশ্চিম পাশের বেড়ীবাঁধ, দক্ষিণ সাকুচিয়ার সূর্যমূখী বেড়ীবাঁধ, হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনার চর বেড়ীবাঁধ হুমকীর মুখে রয়েছে। যে কোন সময় বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বির্স্তীন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
মনপুরা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনদেরকে মাঝে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
মনপুরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম জানান, বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ মেরামত করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির আহমেদ জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ২০ টন চাল ও ৫০ হাজার টাকার বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ হয়েছে।