তরুন যুব রেডক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে কাজ করছেন মীর মোশারেফ অমি
![](https://amaderbhola.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বিশেষ প্রতিনিধি।
দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তর যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্বেচ্ছায় করোনা বিস্তার প্রতিরোধে দীর্ঘ এক মাস ধরে এক ঝাক তরুন স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মীর সিটি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোশারেফ অমি।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক জনাব ইমাম জাফর সিকদার এর নেতৃত্বে এবং যুব প্রধান মোস্তফা কামাল এর তত্ত্বাবধানে এক ঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবক নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সচিবালয়ে ত্রান ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়,তথ্য মন্ত্রনালয়,স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রনালয়,আইডিসিআর,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর,করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সরকারি হাসপাতাল সমূহ সিআইডি,ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সকল থানা এবং পুলিশ কমিশনার এর কার্যালয় এবংগুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর স্থানসমূহ ডিজইনফেকটিং এর কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়াও কল সেন্টারে মাধ্যমে মনো-সামাজিক সহায়তা পেতে কাজ করছে।স্বেচ্ছাসেবকদের নিজ খরচে নিজেদের হাতে রান্না করা খাবার প্রতিদিন দুঃস্থদের মাঝে বিতরন করছে।
এই বিষয়ে নাট্য ব্যক্তিত্ব ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ হাসান
হাসান শাহীদ বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন
দেশের এই দূর্যোগময় মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ একমাস ব্যাপী পরিবার এবং নিজস্ব সকল ব্যক্তিগত কার্যক্রম থেকে দূরে থেকে তরুণ প্রজন্মের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে এই মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি গর্বিত।
মীর সিটি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোশারেফ অমির সাথে কথা বলে জানা গেল এ মহূর্তে তার পরিবার সন্তান সম্ভাবা এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশনে অবস্থান করছে, সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীর পাশে না থেকে তিনি দীর্ঘ একমাস যাবত অবস্থান করছেন জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেডক্রিসেন্ট অফিসে। তাঁবুতে থেকে দেশের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।জাতীয় দূর্যোগে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে যখন সবাই ঘরে অবস্থান করছে তখন দেশের এই তরুণ উদ্যোক্তা সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে দেশের জন্য।এছাড়া ও তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৭৭ জন মধ্যেবিত্ত পরিবারকে নীরবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেডক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকদের দূর্যোগ মুহূর্তে কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য নিজের অর্থে তাদেরকে তিনি একটি এলইডি টেলিভিশন কিনে দেন।যা স্বেচ্ছাসেবকদের কোভিড-১৯ এ যে কোন জরুরি তথ্য পেতে সহযোগিতা হচ্ছে।
১৫ মিনিটের মোবাইল ফোনের আলাচারিতায় বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেন,একদিন তো আমাদের মরতেই হবে। মরবো যখন ভালো কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে মরতে পারলেই ধন্য হবো। এসব কাজে ঝুঁকি থাকলেও এসবের প্রতিদান হিসেবে আমি সেবা দিয়ে যেতে চাই।
মীর মোশারেফ অমি পেশায় একজন সফল ব্যবসায়ী যুক্ত আছেন পিউর ড্রপ কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে এবং মীর সিটি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। ব্যবসায়ী হলেও তিনি নিজেকে একজন স্বেচ্ছাসেবক, সমাজকর্মী এবং সংগঠক হিসেবে পরিচয় দিতে স্ব্যাচ্ছন্দবোধ করেন।