চাল চুরির অভিযুক্তরা ভবিষ্যতে প্রার্থী হতে পারবে না : হানিফ
নিউজ ডেস্ক, আমাদের ভোলা.কম।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ত্রাণের চাল চুরির অভিযোগে যারা একবার অভিযুক্ত হয়েছেন বা অপরাধী হিসেবে দণ্ডিত বা শাস্তি পেয়েছেন তারা যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন সে ব্যাপারে সংসদে আইন করার চেষ্টা চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্তে পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাব উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অসহায় মানুষের ত্রাণের এক ছটাক চাল নিয়েও কোনো অনিয়ম হোক, সেটা চাই না। যদি কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসে, তদন্তে তা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রশাসন যেন তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়। আর চাল চুরিতে দলের (আওয়ামী লীগ) কারো যদি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে হানিফ বলেন, নম্র ভদ্র ভাষায় বুঝিয়ে বলার দিন শেষ। এখন একটু শক্ত হতে হবে। শক্ত অবস্থান নিলে মানুষ ঘরে থাকবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্ত ভূমিকা রেখে কঠোর অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
হানিফ বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে সব কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারাদেশের খেটে খাওয়া মানুষেরা খুব খাদ্যাভাবে রয়েছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ত্রাণ তৎপরতার নির্দেশনা দিয়েছেন এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দলীয়ভাবে ত্রাণ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রকৃতই যাদের খাদ্য সহযোগিতা প্রয়োজন তাদের তালিকা করে খাদ্য সহযোগিতা পৌঁছে দেয়া হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আশরাফউল হক দারা, স্বাচিপ নেতা ডা. আমিনুল হক রতনসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন এই ল্যাবে অন্তত ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। কুষ্টিয়াসহ আশে পাশের পাঁচটি জেলার মানুষ এই ল্যাবের দ্বারা উপকৃত হবেন।