খোলা চিঠি
খোলা চিঠি,
সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে নিত্ত প্রয়জনিয় দ্রব্য পৌঁছে দেয়া কি নিতান্তই খুব কঠিন? আমাদের রাষ্ট্র ব্যাবস্থা জেলা ,উপজেলা ,ইউনিয়ন , ওয়ার্ড এ বিভক্ত। জানামতে মেট্রো এলাকা ব্যতীত কোন ওয়ার্ড এ ই জনসংখ্যা ৩ থেকে ৫ হাজারের বেশি নয়। সর্বোচ্চ জনসংখ্যা হলেও সেই ওয়ার্ডের পরিবারের সংখ্যা ২০০০ এর বেশি হবার কথা নয়। এর মধ্যে সাহায্য প্রার্থী পরিবারের সংখ্যা অর্ধেক ধরলেও সংখ্যাটি ১০০০ এর বেশি হবেনা। যাদের পক্ষে এই মহামারীর সময় সাহায্য ছাড়া চলা সম্ভব নয়,ওই ওয়ার্ডের স্বাবলম্বী পরিবারের মধ্যে এমন অনেক স্বাবলম্বী পরিবার ই আছে যারা কয়েক মাস ইনকাম না করেও নিজেরা ভালোভাবে চলে অন্য পরিবারকে সাহায্য করার সামর্থ্য রাখে বা করছে । সেই হিসাব নাহয় বাদই দিলাম। সরকার কি পারেনা প্রতি ওয়ার্ড ভিত্তিক ওই সকল পরিবারের লিস্ট করে তাদের বাড়ি বাড়ি একমাসের খাবার পৌঁছে দিতে। আমার বিশ্বাস সরকার কঠোর নির্দেশনা দিলে প্রতি ওয়ার্ডের মেম্বাররা ২ দিন এর মধ্যে দলমত নির্বিশেষে ওই সকল সাহায্য প্রার্থী পরিবারের লিস্ট করে ৪ দিনের মধ্যে সকলের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিতে পারে। কারণ সরকারের ডাটা বেইজ রয়েছে, আর মানুষের কাছে আছে ন্যাশনাল আইডি কার্ড।
*****লিস্ট এর কাজটা মেম্বাররা করলেও বিতরনের দায়িত্ব দিতে হবে আর্মি দের।
*****ক্ষুধার জ্বালার চেয়ে বড় কোন জ্বালা নেই।
আর তা নাহলে আগামী সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অনেক কঠিন হবে। রাব্বুল আলামীন এর কাছে এই প্রার্থনাই করি আল্লাহ্ যেন আমাদের এমন কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন না করেন।
*** অনেক ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ফাউন্ডেশন নিজ নিজ উদ্যোগে অসংখ্য পরিবারকে সাহায্য করছেন, তাদেরকেও সরকার এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, তাতে সহজে পরিবার গুলোর কাছে পৌঁছান সম্ভব হবে।
*** আর অপরিকল্পিত ভাবে সাহায্য চালিয়ে গেলে হয়তবা হাজার হাজার কোটি টাকার ত্রাণ দেওয়া হবে কিন্ত দেখা যাবে কিছু পরিবার ৫ বার পাবে আর কেউ হয়তদিনের পর দিন পারকরবে না খেয়ে।
লেখক : তরিকুল ইসলাম কায়েদ