ভোলায় স্কুলের সামনে আড্ডা ও চটপটি বিক্রিতে বাধা দেয়ায় শিক্ষককে মারধর।

স্টাফ রিপোর্টার, আমাদের ভোলা.কম।

ভোলা সদর উপজেলায় বিদ্যালয়ের সামনে চটপটি বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় মো. মহিউদ্দিন নামের এক ধর্মীয় শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত শিক্ষক উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের এ্যাডভোকেট ইউনুছ মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট আলগী গ্রামে বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক মাওলানা মো. মহিউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ভোলা পৌর সভার পৌর আলগী এলাকার বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেনের ছেলে চঞ্চল প্রতিদিন তার বিদ্যালয়ের সামনে চটপটি বিক্রি করে। এর কারনে সেখানে বখাটে ছেলেরা আড্ডা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্লাশ করতে অসুবিদা হয়। তাই তাকে সেখানে চটপটি বিক্রি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু চঞ্চল কোনো ভাবেই সেখানে চটপটি বিক্রি করা বন্ধ করেনি। সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে তাকে বিদ্যালয়ের সামনে চটপটি বিক্রি করতে বাধা প্রদান করে। এ কারনেই বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের আসার পথে বিদ্যালয়ের পশে বৈদ্য বাড়ীর মসজিদের সামনে আসলে চঞ্চল ও স্ত্রীসহ ৪/৫ জন মিলে তাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে ভোলা থানায় মাওলানা মো. মহিউদ্দিন বাদি হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় চঞ্চলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত চঞ্চলকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিঞা বলেন, আহত শিক্ষক আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছে। অভিযুক্ত চঞ্চলকে আটক করতে পুলিশি অভিযান চালছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৫
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।