বোরহানউদ্দিনে রুপালী ব্যাংক বন্ধে গ্রাহক ভোগান্তি
নীল রতন দে.আমাদের ভোলা.কম:
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে সব তফসিলি ব্যাংক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সীমিত আকারে সব ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশ থাকলে বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরের রুপালী ব্যাংকের কুতুবা শাখা বন্ধ থাকায় গ্রাহক ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে সব তফসিলি ব্যাংকের লেনদেন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চালু রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার(২ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত নতুন সময়সূচী পূর্ণনির্ধারণ করে। ওই নিয়মনীতি না মেনে রুপালী ব্যাংক বন্ধ থাকছে। শুধু গত মাসের ২৪ তারিখের পর চলতি মাসের ১ ও ২ তারিখ সরকারি চাকুরীজীবিদের বেতন ভাতা দেয়ার জন্য দুইদিন সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংকটি শাখা খোলা রাখা হয়।
রবিবার সকাল ১১ টায় সরেজমিনে দেখা যায় ব্যাংটির প্রধান ফটক বন্ধ। সামনের দেয়ালে ৪ তারিখ(শনিবার)পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকার নোটিশ। কিন্তু রবিবার বন্ধের নোটিশ নেই। ওই সময় অনেক গ্রাহককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বোরহানউদ্দিন পৌরসভার সচিব প্রণয় সাহা জানান, পৌরসভার ২২ জন মাস্টার রোলে কাজ করা কর্মীর চেক পাঠিয়ে ব্যাংক থেকে ফেরত আসতে হয়েছে। বোরহানউদ্দিন কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মো. ফয়জুল আলম জানান, হজে¦র জন্য জমা রাখা টাকা তুলতে গিয়ে দুইদিন ব্যাংক থেকে ফেরত এসেছেন। এছাড়া ব্যাংকে থেকে টাকা তুলতে আসা গ্রাহক মো. রাসেল, মনিরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, নাসিরউদ্দিনকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এছাড়া বিদেশ থেকে আসা টাকা না তুলতে পেরে অনেককে ফেরত যেতে দেখা যায়। জানা যায়, ওই ব্যাংকের শাখায় উপজেলার অধিকাংশ স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্টন করে। একই একাউন্টে শিক্ষকরা ব্যক্তিগত টাকাও জমা রাখে, প্রয়োজনে উত্তোলন করে। এছাড়া পৌর শহরের বড় ব্যবসায়ীরাও ওই ব্যাংকের ওই শাখায় হিসাব পরিচালনা করেন।
ওই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আবুল কালাম ডিজিএম এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রুপালী ব্যাংকের শুধুমাত্র কর্পোরেট শাখাগুলো খোলা। এছাড়া অন্য শাখাগুলোর মত কুতুবা শাখাও বন্ধের আওতাধীন, তাই বন্ধ।