পুলিশ পিটিয়েও ছাড়া পেলেন ছাত্রলীগ নেতা
নিউজ ডেস্ক , আমাদের ভোলা.কম।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আটক এক ব্যক্তিকে ছাড়াতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা ও আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে নিজ বক্তব্য থেকেও সরে আসেন আড়াইহাজার থানার ওসি আকতার হোসেন।
তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে আলোচনা করেই ছাত্রলীগ নেতাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে ওসি জানালেও বিকেলে জানান সেখানে হামলা হয়নি। হামলা হয়েছে নজরুল ইসলাম বাবু কলেজের সামনে।
দুপুরে আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে মাদক সেবন ও ইভটিজিংয়ের অপরাধে উপজেলার রামচন্দ্রদী গ্রামের জামালউদ্দিনের ছেলে দিদার ইসলামকে গোপালদী বাজার থেকে আটক করা হয়। তার আটকের খবর জানতে পেরে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহাসহ আরও কয়েকজন দিদারকে ছাড়িয়ে আনতে গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যান। এ সময় পুলিশ তাকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে সুজয় পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এটিএসআই মামুন তার প্রতিবাদ করলে সুজয় ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। সুজয় মোবাইলে তার সহযোগীদের তদন্ত কেন্দ্রে এনে পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ খবর আড়াইহাজার থানার ওসি নিজেই অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে সুজয় ও দিদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আহত এটিএসআই মামুন, কনস্টেবল আবুল বাশার ও ইমরানকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার শিকার এটিএসআই মামুন বলেন, গোপালদী এলাকার আশপাশ থেকে ইভটিজিংয়েরর অভিযোগ আসছিল অনেক দিন থেকেই। আমরা বুধবার সকালে দিদারকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে এসে তাকে তার অভিভাবকদের ফোন দিতে বলি। সে ছাত্রলীগ নেতা সুজয়কে ফোন করে তদন্ত কেন্দ্রে আসতে বলে। সুজয় এসেই ক্ষীপ্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করে দিদারকে কে গ্রেফতার করেছে। আমি আটক করেছি বললে সে আমাকে বলে, তর এত বড় সাহস তুই তারে নিয়ে আসছোস। তুই হেরে চিনোস। আমি কাছে যাওয়ার পরপরই আমাকে ঘুষি দিয়ে ফেলে দেয়। ফাঁড়ি উড়িয়ে দিবে, গুলি করে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এরপর দুই কনস্টেবল এগিয়ে আসলে সুজয় ও তার সঙ্গে লোকজন আমাদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।
আটক দুইজনকে ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে মামুন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার পর কেন তাদের ছেড়ে দেয়া হলো এটা আমার মাথায় আসছে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই ভালো বলতে পারবেন। বিষয়টি নিয়ে মামলা করার ইচ্ছা থাকলেও এখন কিছুই বলতে পারছি না। আমি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি।
তবে বিকেলে আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, একটা একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছিল। সে কারণেই দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি এমপি সাহেবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
সূত্র – জাগো নিউজ২৪