চরফ্যাশনের দক্ষিন আইচায় চুরির অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ
সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন প্রতিনিধি,আমাদের ভোলা.কম।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষীণ আইচা থানার বাবুরহাট বাজারে চুরির অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীও কায়দায় ক্ষেত মজুরকে বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আহত ক্ষেত মজুর মো. ইউসুফ (৩৫) দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মজিবুল হকের ছেলে। তিনি সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, উত্তর চরকলমি ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের লালমতি সিকদারের ছেলে স্বপন সিকদার (৪০), একই এলাকার মামুন হাওলাদার ও বশারের তরমুজ ক্ষেতে দির্ঘদিন চাকুরী করতাম, তারা আমাকে প্রতি মাসে ২৫হাজার টাকা বেতনে কাজ করিয়ে ৫মাসের বেতন ১০হাজার টাকা দিয়ে তরমুজ বিক্রির পরে বাকি টাকা পরিশধ করে দিবে বলে জানায়। আমি সরল বিশ্বাসে কাজ করতে থাকি। গত (১৭এপ্রিল) শুক্রবার সকালে স্বপন সিকদার ও একই ওয়ার্ডের জাহাঙ্গির সিকদারের ছেলে জাহিদুলসহ ১০ থেকে ১২জন মিলে মামুন হাওলাদারের বাড়ি থেকে বাবুরহাট বাজারে জাহিদুল সিকদারের দোতালা ঘরে নিয়ে চোর সাব্যস্ত করে লোহার রড, লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে এবং তারকাটা,সুই বরমা ও প্লাস দিয়ে সড়িরে,পাছায়, হাতে নখে আঘাত করে। তারা আমাকে চোর সাব্যস্ত করে এবং স্বপন শিকদারের ঘর চুরির বিষয়ে কে বা কারা জরিত তাদের নাম বলার জন্য আমাকে এ মারধর করে। পরে আমি অচেতন হয়ে পড়লে স্থানিয়ভাবে আমার স্বজনরা খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। এঘটনাার বিষয়ে স্বপন শিকদার জানান, ইউসুফ দির্ঘদিন আমাদের তরমুজ ক্ষেতে কাজ করছিল সে কখোনো আমার বাসায় আসতোনা। ১৬ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে হটাৎ আমার বাসায় আসে এবং আমাদের পরিবারের সবার সাথে খাবার খেয়ে চলে যায়। খাবার খাওয়ার পর থেকে আমার ও পরিবারের সকলের মাথা ঘুরাচ্ছিল এবং শড়ির দুর্বল হয়ে পড়ে। ওই দিন রাতে বাসায় ঘুমাচ্ছি হটাৎ শব্দ শুনে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি উঠে দেখি ইউসুপের মতো একজনসহ দুজন ব্যক্তি মিলে আমার ঘর থেকে তিনটি মোবাইলসহ আমার শার্টে থাকা ৩৫হাজার টাকা চুরি করে চলে যাচ্ছে আমার ডাক চিৎকারে সবাই উঠে আসলেও তাদের ধরতে পাড়েনি। ভোরে আমি ইউসুফকে ডেকে চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে সে শিকার না করায় আমি রাগ করে তাকে একটি থাপর মারি। অভিযুক্ত জাহিদুল এ প্রতিবেদককে মুঠো ফোনে জানান চোরকেতো সবাই মারে,আমরাও চোরকে মেরেছি আমাদের কাছে ইউসুফের চুরি করার প্রমান আছে। আহত ইউসুফের ভাই মো. সেলিম মাঝি বলেন, আমি খবর পেয়ে আমার ভাইকে বাবুরহাট বাজারের একটি দোতলা ঘর থেকে উদ্ধার করে চরফ্যাশনে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রসিদ জানান, বাবুরহাটে গত শুক্রবার এক ব্যক্তিকে মারধরের কথা শুনেছি এ বিষয়ে আহত ইউসুফের ভাই সেলিম মাঝি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।