রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময় একটি শিশু
ফায়ার
সার্ভিসের পানির
পাইপের
লিকেজ
চেপে
ধরে
রেখে
পানির
প্রবাহ
স্বাভাবিক রাখার
চেষ্টা
করেছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই
ঘটনার
একটি
ছবি
রাতারাতি ভাইরাল
হয়ে
উঠে।
শুক্রবার (২৯
মার্চ)
দুপুরে
আগুন
লাগা
এফ
আর
টাওয়ারের পাশে
এই
প্রতিবেদকের সঙ্গে
শিশুটির কথা
হয়।
এসময়
সে
জানায়
‘মানুষকে সাহায্য করতে
বড়
হয়ে
সে
পুলিশ
হতে
চায়।’
শিশুটির নাম
নাইম
ইসলাম।
সে
কড়াইল
বস্তি
এলাকার
বৌবাজারের রুহুল
আমীনের
ছেলে।
কড়াইল
বস্তির
বৌবাজারের আনন্দ
স্কুলে
পঞ্চম
শ্রেণিতে পড়ুয়া
নাইম
জানায়,
আগুনের
খবর
পেয়ে
অন্যদের সঙ্গে
সেও
ঘটনাস্থলে আসে।
ভবনের
পেছনের
দিকে
গিয়ে
ফায়ার
সার্ভিসের পানির
একটি
পাইপে
লিকেজ
দেখতে
পায়।
প্রথমে
সে
হাত
দিয়ে
লিকেজটি বন্ধ
করার
চেষ্টা
করে।
এসময়
কেউ
একজন
তাকে
একটি
পলিথিন
এনে
দেয়।
পরে
সে
পাইপের
লিকেজে
পলিথিন
পেচিয়ে
ধরে
বসে
ছিল।
‘কেন সে
এই
কাজটি
করেছিল’
জানতে
চাইলে
নাইম
বলে,
‘আমি
মানুষের সাহায্যের জন্য
করেছি।
মানুষের উপকার
করেছি।’
এসময়
একজন
পুলিশ
পরিদর্শকের পাশে
বসে
থাকা
নাইম
তাকে
দেখিয়ে
বলে,
‘আমি
বড়
হয়ে
এই
স্যারের মতো
হইতে
চাই।
পুলিশ
হইতে
চাই।
পুলিশ
হইলে
মানুষের সাহায্য করা
যাইবো।’
নাইম
জানায়,
তার
বাবা
রুহুল
আমিন
ডাব
বিক্রি
করেন।
আর
মা
নাজমা
বেগম
গৃহিণী। তার
একটি
ছোটবোন
রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে তার
ছবি
দিয়ে
প্রশংসা করা
হচ্ছে
জানালে
নাইম
লাজুক
হাসি
দিয়ে
বলে,
‘হ,
আমি
শুনছি।
আমারে
অনেকে
কইছে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮
মার্চ)
দুপুর
১২টা
৫৫
মিনিটে
২১-তলা বনানীর এফ
আর
টাওয়ারের ৯
তলায়
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
ঘটে।
ফায়ার
সার্ভিসের ২৫টি
ইউনিট
আগুন
নেভানো
ও
হতাহতদের উদ্ধারের কাজ
করে।
পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ,
র্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার
সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক
স্বেচ্ছাসেবী কাজ
করে।
প্রায়
সাড়ে
ছয়
ঘণ্টা
চেষ্টার পর
রাত
৭টায়
আগুন
নেভানো
সম্ভব
হয়।
এই
ঘটনায়
এখন
পর্যন্ত ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
(সূত্র –
BANGLATRIBUNE.COM)
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াছিনুল ঈমন