মুরাদের ৪০ বছর সাজায়  চরফ্যাশনে স্বস্তি

চরফ্যাশন (ভোলা)থেকে বিশেষ প্রতিনিধিঃ ।

২১ মামলার আসামী মুরাদ হোসেনকে ৪০ বছর ৫ মাসের সাজায় ভোলার চরফ্যাশন এলাকায় স্বস্তি। বৃহস্পতিবার চরফ্যাশনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম চাঁদাবাজী মামলায় ২০ বছর ১ মাস এবং গত বছরের ১৬ নভেন্বর একই আদালতে আরেকটি মামলায় মুরাদের ২০ বছর ৪ মাসের জেল হয়েছে। মামলার অপর আসামী আজিজ, ইউছুপ ও ফুয়াদ কে অভিযোগ প্রমানতি না হওয়া আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মুরাদ বাহিনী এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারনে সাধারণ মানুষ ছিল তার কাছে জিম্মি। সন্ত্রাসী মুরাদের ৪০ বছর সাজায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালে চরফ্যাশন উপজেলা হাজিরহাট চোমুহনী খেয়া পারাপারের ইজারা নিয়ে আবদুল মতিন মেম্বরের কাছে মুরাদ তার সহযোগীদের নিয়ে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে মুরাদ তার সহযোগিদের নিয়ে মতিন মেম্বারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় আবদুল মতিন বাদী হয়ে ২০১৩ সালে চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সেশন-২৫৭/১৮ চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।

২০১৫ সালে ফরিদাবাদ গ্রামে আবুল হোসেনকে গতিরোধ করে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে। এই ঘটনায় ২০১৫ সালের ১৩ মার্চ আবুল হোসেন বাদী হয়ে মুরাদ, লিটন, আজিজ ও ফিরোজকে আসামী করে জি.আর ৫৭/১৫ মামলা দায়ের করে। এই মামলায় গত বছর ১৭ নভেম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মুরাদের ২০ বছর ৪ মাসের সাজা দেয়। মুরাদ হোসেন চরফ্যাশন আহম্মদপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বাসার চাপরাসীর ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের এডিশনাল পিপি মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, আলোচিত এই মামলার আসামী মুরাদ এলাকায় একজন দূস্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চরফ্যাশনে বিভিন্ন থানার চাঁদাবাজী, ডাকাতি, মৎস্য ঘাট দখল ও প্রতারনাসহ আরও ২১টি মামলা রয়েছে। আদালতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় দন্ডপ্রাপ্ত মুরাদ বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।