লাশঘরে বেজে উঠল রাব্বির ফোন
অনলাইন ডেস্ক, আমাদের ভোলা.কম।
রাজধানীর বনানীর বহুতল ভবন এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ লোকজনের লাশগুলো স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে। চারদিকে পিনপতন নীরবতা। মর্গের লাশ কাটার কর্মীরা ব্যস্ত লাশ সাজাতে। এমন সময় মর্গে বেজে উঠল একটি ফোন। একটি লাশের পকেটে ছিল মুঠোফোনটি।
ফোনে সাড়া দিতেই জানা গেল লাশে পরিচয়। ফোন আসা ওই যুবকের নাম ফজলে রাব্বি (২৭)। তিনি এক সন্তানের জনক ছিলেন।
বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড়ে। মর্গে রাব্বির সঙ্গে থাকা ফোন বেজে উঠলে তা বের করে কথা বলেন লাশের সঙ্গে থাকা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের একজন কর্মী। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এ কথা জানালেন রাব্বির বড় বোন শাম্মী আক্তার।
ফোনে শাম্মী আক্তার জানান, ফজলে রাব্বি এফআর টাওয়ারের ১১ তলায় ইউরো সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, এফআর টাওয়ারে আগুনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের লাশ ঢামেকে আনা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। রাব্বির মৃত্যুও একইভাবে হয়েছে।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এফআর টাওয়ারের নবম তলায় আগুন লাগে। এতে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭৩ জন। কয়েকজনের নিখোঁজ থাকার দাবি করছেন স্বজনরা।
(সূত্র – যুগান্তর )