ভোলায় আবাসনের ২০ মেঃ টন চাল সহ ট্রাক জব্দ
![](https://amaderbhola.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
জাফর ইকবাল , আমাদের ভোলা.কম।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর গুচ্ছ গ্রামের ২০ মেঃ টন চালসহ ট্রাক আটক করেছে ভোলা জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ভেদুরিয়া ফেরীঘাট থেকে এ চাল জব্দ করেছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, দৌলতখান মদনপুর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের ৬৮.৭৪০ মেঃ টন চাল গত ৩১ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে অনুমোদন করেন দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ মজুমদার। দৌলতখান খাদ্য অধিদপ্তরের বিলি আদেশ (ডিও) এর চালানের মাধ্যমে জানাযায়, ওই গুচ্ছ গ্রামের সিপিসি (ক্রেতা) চর মুন্সি কোয়েল ডি-১ গুচ্ছগ্রাম মদনপুরের ইউপি মেম্বার বেনু আমিনের নামে চালগুলো ইস্যু করা হয়। দৌলতখান খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শান্তি রঞ্জন দাস গুচ্ছ গ্রামের কাজ পরিচালনার জন্য এ চালগুলে ৩১/১/২০১৯ তারিখে বিতরণ দেখান। কিন্তু চালগুলো ওই তারিখে বিতরণ না করে ৮ মাচ শুক্রবার ৩টি ট্রাকে ভর্তি করে সাতক্ষীরার ত্রিশ মাইলের রাকিব অটো রাইস মিলের নামে পাচার করা হচ্ছিল। চালগুলো ভোলার ভেদুরিয়া ফেরীঘাট হয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ট্রাকে করে যাচ্ছিল। জব্দকৃত ট্রাক নং-কুষ্টিয়া-ট-১১-১৯৭২। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলার জেলা প্রশাসক একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে পাচারকৃত চালগুলো জব্দ করে ভোলা থানায় নিয়ে আসলেও অপর ২টি চালভর্তি ট্রাক ফেরী পারহয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সূত্রে জানাগেছে, উক্ত চালগুলো ভোলার খালপারের চাল ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়ার ক্রয়কৃত চাল। সরকারের বিধান অনুযায়ী প্রতি জেলার চাল স্ব-স্ব এলাকায় বিতরণের কথা থাকলেও এ কু-চক্রি মহল দীর্ঘ দিন যাবৎ আবাসনের চাল কম দরে ক্রয় করে ভোলার বাইরে বিক্রি করে দেয়। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ওই চাল ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়া দৌলতখান আবাসনের তিন ট্রাক চাল পাচারকালে পুলিশ হাতেনাতে আটক করে ভোলা থানায় সোপর্দ করে। পরে আলমগীর মিয়া ভবিষ্যতে ভোলার বাহিরে চাল পাচার না করার মুচলেকা দিয়ে সে চালগুলো দৌলতখান খাদ্য গুদামে ফেরৎ পাঠায়। এ ব্যাপারে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ মজুমদার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, আবাসনের কাজের জন্য চাল দেয়া হলেও চালগুলো তারা বিতরণ না করে অন্যত্র বিক্রি করেছে। এটা সম্পূর্ণ অন্যায় কাজ। অন্যদিকে এ ব্যাপারে দৌলতখান খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শান্তি রঞ্জনএর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।