চরফ্যাশনে চাল ও পেয়াজের মূল্য দ্বিগুণ! ভ্রাম্যমান আদালতের অর্থদণ্ড
এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন প্রতিনিধি :
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা ভাইরাসের অজুহাতে ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটে চাল ও পেয়াজের বাজারসহ নিত্যপণ্যের মূল্য তিনদিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে দিগুণ। এছাড়াও চীন থেকে আমদানি নির্ভর রসুন আদা ও মসলার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে করোনা ভাইরাসকে। শনিবার (২১মার্চ) খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে চাল,ডাল,ভোজ্যতেল সহ পেয়াজের দাম রাখা হচ্ছে দ্বিগুন দামে। চরফ্যাশন পাইকারি চাল বাজারে নুরজাহান,খেজুরগাছ,মজুমদারসহ স্পেশাল গুটি স্বর্ণা চালের প্রতি বস্তা তিনদিনের ব্যাবধানে ১৪৫০ টাকা থেকে ২১শ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়িরা। এছাড়াও মুদি ও মসলার দোকানগুলোয় ৩০ থেকে ৩৫টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। বিভিন্ন গ্রাম্য বাজারে ১০০টাকায় পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে বলেও একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. হোসেন মিয়া জানান, ব্যবসায়িরা ৩০টাকার পেয়াজ বিক্রি করছেন ১০০ টাকায় এবং ভোক্তাদেরকে অজুহাত দেখাচ্ছেন করোনা ভাইরাসে আমদানি কম থাকায় এ দাম বেড়েছে। চাল ক্রেতা তাসলিমা বেগম ক্ষোব প্রকাশ করে জানান, ১৪৫০ টাকার চাল ক্রয় করতে হচ্ছে ২১শ টাকায়। এভাবে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়িরা বিভিন্ন সংকটের অজুহাত দেখিয়ে আর কতো সিন্ডিকেট করবে। স্থানিয় একাধিক খুচরা ব্যবসায়ি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে চীন ও ভারত থেকে রসুন,আদা,এলাচ মসলা আসা কমে যাওয়া ও দেশি পেয়াজ,আদা,রসুনের সরবরাহ কম থাকায় এ দ্রব্যগুলোর দাম একটু বেড়েছে। চাল ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলায়েত মিয়া বলেন, ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট করার কোনো প্রশ্নই উঠেনা আমরা বেশি মূল্যে চাল ক্রয় করি বলেই বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন বলেন, ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনিয় দ্রব্য বেশি মূল্যে বিক্রি করায় আমরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়েছি এছাড়াও উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ১৬০ প্রবাশির তালিকা করে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, করোনা ভাইরাসকে ইস্যু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেশি রাখার কোনো সুযোগ নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে চাল ও মুদিবাজারের ৬ ব্যবসায়িকে ১৭হাজার ৫শ টাকা ও হোম কোয়ারেন্টিনের শর্ত ভঙ্গ করায় দুই প্রবাসীকে ২২হাজার টাকার অর্থদণ্ড করা হয়েছে।