করোনা প্রতিরোধে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে,যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন,রেজাউল করিম চৌধুরী,
সোহেল মাহমুদ,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি,আমাদের ভোলা.কম
প্রতিবেশী এবং পুরো সমাজকে কঠোর এবং বেদনাদায়ক দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে, পরিস্থিতি থেকে পালালে হবে না। আশা করি গতকাল (২৭ মার্চ) সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতায় “একটা দাফনের কাহিনী” শিরোনামের একটি সংবাদ লক্ষ্য করেছেন, খিলগাঁও তালতলার কাউন্সিলর শওকত একজন করোনা অক্রান্তের মৃতদেহ সমাহিত করতে গিয়ে কী ধরনের অসুবিধার মুখোমুখি হয়েছেন, সেখানে তুলে ধরা হয়েছে , এলাকার কেউই তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। আজকের (২৮ মার্চ) প্রথম আলো পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় আরও একটি সংবাদ আছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরব সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র একজন অ্যাম্বুলেন্স চালকের দুঃখের গল্প প্রকাশিত হয়েছে, যার শিরোনাম ‘আরে বাঁচতে ইচ্ছে করে না’। চিকিৎসকগণ তাঁকে কোয়ারান্টিনে রাখার সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানায় এবং তাদের বাঁধার মুখে শেষ পর্যন্ত সেই এম্বুলেন্স চালককে নিজের এলাকা ছেড়ে পালাতে হয়। এটি অমানবিক, অকল্পনীয় এবং এটি কারও কাছেই প্রত্যাশিত নয়। আমরা আমাদের ভাই ও বোনদের অনুরোধ করতে পারি যে, করোনা আক্রান্ত কারো মৃত্যু হলে তাকে কিভাবে কবর দিতে পারি সে সম্পর্কে সচেতন হউন, আমাদের (COAST / CCNF) ওয়েবসাইট (www.cxb-cso-ngo.org এবং www.coastbd.net) থেকে এ বিষয়ে সরকারি গাইড লাইনটি পাওয়া যাবে। এটি বাংলাতেই দেওয়া আছে। আমি আমাদের সকল শ্রদ্ধেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকদের এই গাইডলাইনটি প্রচারণার অনুরোধ জানাই। সমস্ত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নেতাদের কমিটি গঠনের জন্য এবং তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে অনুরোধ জানাই। আমি জানি এই সংকটকালীন সময়ে ইউএনও এবং ডিসি মহোদয়গণ অনেক প্রশংসনীয় কাজ করছেন, আমাদের জনপ্রতিনিধিরাও এক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করছেন। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে আপনারা সবাই মিলে সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় শক্তিগুলোকে একত্রিত করার অপরিসীম ক্ষমতা রাখেন। স্বেচ্ছাসেবীদের এই বিষয়ে অবিলম্বে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত, তাদের মৃতদেহের জানাজার বিষয়ে পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম) প্রয়োজন। একই সাথে, আমাদের তরুণ বন্ধুবান্ধব, সম্মানিত সামাজিক নেতাদেরও প্রচারণা শুরু করার জন্য কমিটি গঠন করা উচিত, যদি কোনও ব্যক্তি আইসোলেশনে চলে যায়, তবে তার বা তার পরিবার যেন কারো অসহযোগিতা বা বিরূপ আচরণের শিকার না হয়। আমরা ইতিমধ্যে জানি যে এই বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলছে, মানুষকে সেগুলি অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করে, আমাদের সেই পরিবারগুলির জন্য মৌলিক প্রিযোজনীয় বিষয়গুলো নিশ্চিত করা উচিত, এটা কোন কলঙ্কের বিষয় নয়। বাচতে চাইলে আমাদের একসাথে বাঁচতে হবে। এমনকি আমাদের মধ্যে কেউ কেউ করোনার কারণে মারা গেলেও, সবার জন্যই একটি মর্যাদাপূর্ণ দাফন প্রয়োজন।মনে রাখবেন তিনি আমাদের কারো না কোরা বাবা, মা, ভাই বা বোন।