আমি আবার স্কুলে ফিরতে চাই! ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু নেহার আকুতি
এম ইউ মাহিম, আমাদের ভোলা.কম।
আমি আবার স্কুলে ফিরতে চাই, বাঁচতে চাই, বন্ধুদের সাথে খেলতে চাই, কিন্তু আমি কি পারব আবার স্কুলে ফিরতে? এমন মর্মস্পর্শী ভাষাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ক্যান্সার ইউনিটের ২০২ নং ওয়ার্ডের ৬ নং বেডে শুয়ে আধো আধো কন্ঠে সবার কাছে বাঁচবার ও স্কুলে যাবার আকুতি জানাচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থী নেহা।
নেহা ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর এলাকার দরিদ্র দিনমজুর ইলিয়াস আলীর কন্যা। নেহা স্থানীয় একটি প্রাইমারী স্কুলের ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী
মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারের আক্রান্তের কথা দেড় মাস আগে জানতে পারেন নেহার দরিদ্র পিতা ইলিয়াস আলী। মৃত্যুর হাতছানি জেনেও চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তার। অকাল মৃত্যুর হাত থেকে সন্তানের জীবন বাঁচাতে করুণ আর্তি দরিদ্র বাবার । তিনি ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন সমাজের বৃত্তবানদের সাহায্য সহযোগিতা। অর্থাভাবে চিকিৎসা চালাতে না পেরে মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার পর স্থানীয় এক তরুন সমাজকর্মী লালমোহন ব্লাড ডোনার অরগানাইজেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান (রাহাত) খোঁজ পেয়ে নেহাকে এনে ভর্তি করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।এখন দেশ বিদেশের হৃদয়বান মানুষের আর্থিক সহযোগীতায় ও নেহার চিকিৎসা সাহায্যর্থে গঠিত একঝাঁক মানবতাবাদী সমাজকর্মীদের আন্তরিক প্রচেস্টায় চলছে তার চিকিৎসা।
চিকিৎসকের ভাষ্যমতে নেহার ব্লাড ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় সুচিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। প্রয়োজন আগামী তিন বছরে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। নেহার চিকিৎসায় কোন হৃদয়বান মানুষ আর্থিক সাহায্য করতে চাইলে নিম্মোক্ত নম্বরে বিকাশ করুন। নেহার বাবা-০১৭০৭৮০৯৩৭৪ সালেহ রনক- ০১৬১৮১১১৮২২রাহাত-০১৭৩৬৬৬৬২২৩