লালমোহনের বেতুয়া খালে ব্রিজ নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর
আওলাদ খান , আমাদের ভোলা.কম।
দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলার মেঘনার তীরবর্তী জনপদ লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা ফাতেমাবাদের প্রায় ৫ শতাধীক মানুষ প্রতিদিনি ২০০ মিটারের চওড়া বেঁতুয়া খাল ফাঁড়ি দিতে হচ্ছে। আর এ খাল পারাপারের একমাত্র ভরসা হচ্ছে নৌকা। বর্তমানে নৌকার তেমন কোনো প্রচলন না থেকলেও এই এলাকায় গেলে দেখা যায় ভিন্ন পন্থা। নৌকাতে করে এখানের মানুষরা বিগত ৬০ বছর ধরে খালটি ফাঁড়ি দিতে হচ্ছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানের জনগনের। প্রতিদিন প্রায় ৬০-৬৫ জন শিক্ষার্থী খালটি ফাঁড়ি দিয়ে ওপারে গিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের আজাহার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আসলামপুর দাখিল মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। অন্যদিকে চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউনিয়নের অনেক মানুষ লর্ডহার্ডিঞ্জের ফাতেমাবাদ এলাকায় এসে ব্যবসা করছে। আবার এপার থেকে অনেকেই ওপারে যাচ্ছে। লালমোহন উপজেলা সদর থেকে ফাতেমাবাদ এলাকা অনেক দূরে হওয়ায় এখানের বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় কাজ সারতে যাচ্ছে চরফ্যাশনে।দুর্ভোগের খবর সংগ্রহ করতে রবিবার লালমোহন ও চরফ্যাশনের এই সীমান্তবর্তী এলাকায় হাজির হয় আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ক্রাইম বাংলা নিউজের সম্পাদক জনাব হান্নান মিয়া, চ্যানেল এস এর ভোলা দক্ষিন প্রতিনিধি ও লালমোহন নিউজ২৪.কম এর বার্তা সম্পাদক হাসান পিন্টু,ক্রাইম বাংলা নিউজের নির্বাহী সম্পাদক মিজানুর রহমান হাওলাদার,বাংলারবানী২৪.কম এর আওলাদ খান,চ্যানেল নাইনের ক্যামেরা পার্সন অন্তর। কথা হয় প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী ঝুমা, ঝর্ণা, মেরুনা, মারিয়া ও শাকিল জানায়, আমরা প্রতিদিন এখান দিয়ে নৌকায় করে যেতে হয়। যার কারণে বর্ষাকালে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টিতে আমাদের বই খাতা ভিজে যায়। মাঝে মাঝে খালের ভিতর নৌকা উল্টে পড়ে আমাদের জামা-কাপড় ভিজে যায়। তাই আমাদের সমস্যা লাগবের জন্য এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি। মহিউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আক্তার মিয়া ও নিরঞ্জন নামের কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, উপজেলা সদর থেকে এই এলাকাটি অনেক দূরে। তাই প্রয়োজনীয় কাজ আমাদের চরফ্যাশনে গিয়ে করতে হয়। এই খালটির কারণে আমরা বিগত ৬০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবী দ্রুত যেনো এ খালোর ওপর দিয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।