মাছ চোর ধরায় ঘেরের মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ।
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে ঘেরের মাছ চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় চোরকে হাতে নাতে ধরায় ঘের মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলায় ঘের মালিকের ভাই সুমনকে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। তজুমদ্দিন থানার মামলা নং- ১১/২০২০। ঘটনাটি ঘটেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নে মধ্যমধলী ০৮নং ওয়ার্ডে।
ঘের মালিক রহমত উল্যাহ নয়ন জানান, সে ইউনিয়নের মধ্যমধলী মৌজায় ১৬০ শতাংশ জমি লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মাছের খামারের ব্যবসা করছেন। তজুমদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা পার্শ্ববর্তী ঘের মালিক জুয়েল সহ তার লোকজন রাতের আধারে প্রায় সময় তার ঘেরের মাছ ধরে নিয়ে জুয়েলের মাছের ঘেরে ছেড়ে দেয়। এক পর্যায়ে রহমতউল্যাহ নয়ন ঘেরের পার্শ্ববর্তী লোকজনদের সহায়তায় গত ২২/০২/২০২০ইং রাত ৮টার দিকে জুয়েল সহ তার লোকজনকে জাল মাছ সহ আটক করে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ফয়সালা করে দেয়ার কথা বলে জুয়েল সহ সকল কে ছাড়িয়ে দেয়। এরপর ঘের মালিক রহমত উল্যাহ তার স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে ঘেরের পাড়ে আসলে জুয়েলগংরা ঘের মালিক নয়ন ও তার ভাইকে মারধর করে নয়নের স্ত্রীকে টানাহেছড়া ও শ্লীলতাহানী করে স্বর্নের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জুয়েল নিজেকে বাঁচাতে নিজে অপহরণ নাটক সাজিয়ে তজুমদ্দিন থানায় অপহরণের চেষ্টা একটি মামলা দায়ের করে। তজুমদ্দিন থানা উপ-পরিদর্শক ছানাউল্লাহ জানান, এ ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং- ১১/২০২০ মামলায় আজ বুধবার ঘের মালিকের ভাই সুমনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘের মালিক রহমতউল্যাহ নয়ন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একেতো আমার ঘেরের অধিকাংশ মাছ জুয়েলগংরা ধরে নিয়ে গেছে তার উপর আমি সহ আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। ভুক্তভোগী নয়ন স্থানীয় প্রশাসন সহ গন্যমান্যদের সহায়তা কামনা করছেন। এ ব্যাপারে এলাকায় ঘটনা স্থলে গিয়ে অভিযুক্ত জুয়েলের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।