মনপুরায় ঘূর্ণীঝড়ে স্প্রীডবোটসহ ১০ মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত

জাফর ইকবাল, আমাদের ভোলা.কম।

ভোলার মনপুরায় হঠাৎ ঘূর্ণীঝড়ের আঘাতে এক স্প্রীডবোটসহ ১০ মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হয়। এই সময় ট্রলারে থাকা দুই জেলে ফারুক মাঝি, জাহাঙ্গীর মাঝি আহত হয়। এছাড়াও ঘূর্ণীঝড়ে জসিম নামে এক শুটকি ব্যবসায়ীর ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় লক্ষাধিক টাকার শুটকি মাছ ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টায় ঘূর্ণীঝড়ের আঘাতে উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের রামনেওয়াজের মেঘনা তীরবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘুর্ণীঝড়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হওয়া স্প্রীডবোট রনতরী-১ এর মালিক হলেন উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের আলাউদ্দিন পিটার ও বিধ্বস্ত ট্রলারের মালিকরা হলেন, ফারুক মাঝি, জাহাঙ্গীর মাঝি, বাহার মাঝি, আলমগীর মাঝি, জসিম মাঝি, এরশাদ মাঝি, নসু মাঝি, ছালাউদ্দিন মাঝি, আবুল খায়ের মাঝি, স্বপন মাঝি। এদের সবার বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। অপরদিকে রামনেওয়াজ মৎস্য ঘাটে শুটকি ব্যবসায়ী জসিমের ঘর বিধ্বস্ত হয়।
বিধ্বস্ত স্প্রীডবোটের মালিক আলাউদ্দিন পিটার জানান, ঘূর্ণীঝড়েরর আঘাতে তার স্প্রীডবোটটি সম্পূর্ন বিধ্বস্ত হয়। এতে পিটারের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীর জানান, ঘূর্ণীঝড়ের আঘাতে ঘাটে বাধা এক স্প্রীডবোটসহ ১০ ট্রলার ব্লকের সাথে সংঘর্ষে সম্পূর্নরুপে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরোও জানান, মৎস্য ঘাট এলাকায় একটি খাল খনন করা হলে জেলেরা ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির আহমেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা তৈরী করতে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে সরকারি বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।
এ রির্পোট বিকেল ৫ টায় লেখা পর্যন্ত বাতাস ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চর নিজাম ও কলাতলীর চরে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। এমনকি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা খোঁজ-খবর নিতে না পারায় কোন খবর পাওয়া যায়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

জানুয়ারি ২০২৫
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ডিসেম্বর    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।