ভোলায় নারীকে কোপানোর মামলায় ৯ দিন পরেও গ্রেফতার হয়নি কেউ
স্টাফ রিপোটার।
ভোলায় নারীকে কোপানোর মামলায় ৯ দিন পরেও মামলার এজাহারভুক্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ । আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে র্নিযাতিতা পরিবারটি।
এ হামলায় ঘটনায় মারাত্মক আহত ও মামলার বাদী ফাতেমা আক্তার নিশি বলেন ভোলা পৌরসভার ২ নং ওয়াডের পাখির পোল এলাকার শাহে আলম চৌধুরী সড়কের মো: আবু সুফিয়ানের ছেলে মুকুল এলাকার একজন চিন্নিত বখাটে ও মাদক সেবি। আমাদের বাসার সামনে বসে মুকুল সব সময় আড্ডা মারে ও নেশা করে এবং প্রায়ই আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো । আমি তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে সবসময় আমাকে উক্তক্ত্য করত। র্পূব শত্্রুতার জের ধরে গত ১৫ তারিখ সকাল ১০ টার দিকে আমার বাসার সামনে বসে কয়েকজনসহ মাদক সেবন করছিলো । আমি তাকে মাদক সেবন করতে নিষেধ করায় আমাকে এলোপাথারি মারধর করে । আমার ডাক চিৎকারে হাজেরা ও ফরিদা বেগম এগিয়ে আসলে মুকুল ও তার সংগে থাকা তিন চারজন বগিদা ও লোহার রড দিয়ে আমাদের মারা শুরু করে। একর্পযায়ে মুকুল আমার মাথায় কোপ দিলে আমি মারাত্মক আহত হই। মুকুল আমার ও আমার ভাবীর সংগে থাকা স্বর্নের চেইন ও মোবাইল নিয়ে যায়। পরে আমাদের এলাকাবাসী এসে হাসপাতালে পাঠায়। এ আঘাতের কারনে আমার মাথায় ১০ টি সেলাই দেয়া লেগেছে।
আহত নিশু আরো বলেন গত ১৬ ফেব্রুয়ারী আমি ভোলা থানায় মামলা দায়ের করি যাহার নং ৫২/১৪১ কিন্তু মামলার ৯ দিন পার হলেও আসামী গ্রেফতার করেতে পারেনি পুলিশ তাই আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে মাদকের ব্যাপারে কঠিন অবস্থানে রয়েছে সেথানে মুকুল মাদক গ্রহন করে আমাদের উপর হামলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমি মুকুলের গ্রেফতার এবং দৃস্টান্ত মুকুল শাস্তির দাবি করছি পাশাপাশি ভোলার গনমানুষের নেতা সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ভোলার জেলা প্রশাসক ও ভোলা পুলিশ সুপারের কাছে সুবিচার র্প্রাথী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোলা সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত র্কমকর্তা মো: ছগির মিয়া জানান আসামী পলাতক রয়েছে তাই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী গ্রেফতারের চেস্টা চলছে এবং এ মামলার জন্য একজন তদন্তকারী র্কমর্কতা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মুকুলের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মামলার কারনে মুকুল আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।