পতিতাবৃত্তির অপবাদে ৩ নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
![](https://amaderbhola.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
অনলাইন ডেস্ক, আমাদের ভোলা.কম।
পতিতাবৃত্তির অপবাদে তিন নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ভেঙে দিয়েছেহাত-পা। কেটে দেয়া হয়েছে মাথার চুল।
শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর দক্ষিণ কলাবাগ খালপাড় এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন চাঁদাবাজ যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
আহত নারীরা হলেন- ফাতেমা বেগম ওরফে ফতেহ (৫০), আসমা বেগম (৪০) ও বানু বেগম (৩৫)। হাসাপাতালের বিছানায় আহত ফাতেমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চাঁদাবাজ চক্র তার কাছে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না পেয়ে তারা আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করেছে।
এলাকার একপক্ষ বলছে, পতিতাবৃত্তির অপরাধে স্থানীয় কিছু যুবক ফাতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ সময় ফাতেমার বাড়ি থেকে আসমা বেগম, বানু বেগমকে বের করে বেদম মারপিট করে তারা।
পরে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। ভেঙে দেয়া হয় হাত ও পা। তবে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ করা হলেও ওই সময় ফাতেমার বাড়ি থেকে কোনো তরুণী কিংবা খদ্দের পাওয়া যায়নি।
এলাকার আরেকটি সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা ওরফে ফতেহ আগে বাড়িতে দেহব্যবসা চালাতেন। কিছু দিন আগেও এলাকার একটি গ্রুপ থানা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয় তাকে। পরে আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন ফাতেমা।
এর পর থেকে এলাকার একটি চাঁদাবাজ গ্রুপ তার কাছে নিয়মিত মাসোয়ারা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে একপর্যায়ে ফাতেমার বাড়িতে লুটপাট চালায় তারা। পরে এই তিন নারীকে বেদম মারধর ও গাছের সঙ্গে বেঁধে চুল কেটে দেয়া হয়।
বন্দর থানার এসআই সাফিউল ইসলাম জানান, নির্যাতনের সংবাদ পেয়ে তিন নারীকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বন্দর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পতিতাবৃত্তির মতো কোনো বিষয় থাকলে থানায় অবহিত করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতাম। এভাবে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। এর জন্য পুলিশ আছে, প্রশাসন আছে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি। এ ছাড়া নির্যাতিত তিন নারী থানায় অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।