চকবাজার অগ্নিকান্ডে নিহত শাহবুদ্দিনের দৌলতখানের বাড়ীতে শোকের মাতম

রোমানুল ইসলাম সোহেব , আমাদের ভোলা.কম।।
রাজধানীর চকবাজারে আগুনে পুড়ে নিহত ভোলা দৌলতখান উপজেলা মধ্য জয়নগর ৬ নং ওয়ার্ডের চালতাতলি এলাকার হাচন আলী মালের মেজ ছেলে অটো রিক্সা চালক শাহবুদ্দিন (৩২) এর বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম। তার স্ত্রী ছকিনা বেগম ও তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে কামরুল (১৪) মেজ ছেলে সাগর (১১) ও রাব্বি নামের ৯ মাসের শিশু পুত্র রয়েছে। শাহবুদ্দিন তার শশুর বাড়ী ভোলা বাংলাবাজার সহিদ উল্লাহ মাষ্টার বাড়ী বসবাস করে। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে বাতাস। একজন সদালাপী, পরিশ্রমী শাহাবুদ্দিনের অকাল মৃত্যুকে সহজে মেনে নিতে পারছে না এলাকার মানুষ। পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, শাহাবুদিন প্রায় বছর খানেক থেকেই সে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর কামরুল মিয়ার অটো রিক্সা গ্রেজ থেকে রিক্সা নিয়ে ভাড়ায় চালাতেন। কামরুল মিয়ার গ্রেজ মেস্তরী জলিল জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শাহবুদ্দিন বুধবার রাত ৮ টায় গ্রেজ থেকে একটি অটো রিক্সা নিয়ে বের হয়। পরদিন সকালে নির্দিষ্ট সময় গ্রেজে রিক্সা নিয়ে শাহাবুদ্দিন ফেরৎ না আসায় তার মোবাইলে একাধিক কল করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে স্ত্রী সন্তান ও আত্মীয় স্বজন ঢাকা মেডিকেলে গিয়েও লাশ শনাক্ত করতে পারেনি। তবে আগুনে পোড়া চকবাজার রাস্তায় ধ্বংস স্তুপে শাহাবুদ্দিনের রিক্সার নাম্বার প্লেটের কিছু নমুনা দেখে ওই গ্রেজের লোকজন পুড়ে যাওয়া রিক্সা সনাক্ত করে। পরিবারের এখন ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে লাশ সনাক্ত করাই একমাত্র ভরশা। শাহবুদ্দিনের স্ত্রী ছকিনা বেগম বলেন, আমার ছোট তিন সন্তান নিয়ে এখন আমি নিরুপায়। এই সন্তান নিয়ে আমি কোথায় যাবো। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমি অন্তত আমার স্বামীর লাশটি যেন শনাক্ত করতে পারি। এই বিষয় মধ্যজয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান লিটন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এখন পর্যন্ত লাশের কোন সন্ধান মিলেনি তবে শাহাবুদ্দিনের সকল কাগজ পত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যপারে দৌলতখান থানার অফিসার ইন-চার্জ এনায়েত হোসেন জানান শাহাবুদ্দিনের পরিবার স্বজনের কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি তবে আমার কাছে তারা আসলে যে কোন সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।