কে এই বিমান ছিনতাইকারী যুবক

অনলাইন ডেস্ক, আমাদের ভোলা.কম।

রোববার রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ‘ময়ূরপঙ্খি’ ছিনতাইচেষ্টাকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের কৃষক মো. পিয়ারজাহানের ছেলে মো. পলাশ আহমেদ।

সোনারগাঁও থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছিনতাইচেষ্টায় কমান্ডো অভিযানে নিহত যুবক র‌্যাবের অপরাধী ডাটাবেজের অন্তর্ভুক্ত। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুরের দুধঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবার নাম পিয়ারজাহান সরদার।

বোরবার অভিযানের পর বলা হয়েছিল, বিমান ছিনতাইচেষ্টাকারী নিজের নাম ‘মাহাদী’ বলে জানিয়েছে।

র‌্যাব আরও জানায়, প্লেনটি ঢাকা থেকে দুবাইগামী হলেও পলাশ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ছিলেন। টিকিট অনুযায়ী তার নাম ‘আহমেদ/মো. পলাশ’। ফ্লাইটের ‘১৭এ’ আসনের যাত্রী ছিলেন তিনি।

এলাকাসী জানায়, সোনাগাঁওয়ের মঙ্গলেরগাঁও সড়কে পলাশ প্রায়ই ডাকাতি করতো। কিন্তু পুলিশ তাকে কখনও ধরতে পারেনি।

সোনারগাঁ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় নিহতের ছবি রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে দুধঘাটা গ্রামের পিয়ারজাহানের বাড়িতে নিয়ে দেখালে তারা ছবিটি পলাশের বলে নিশ্চিত করে। তবে যতটুকু খবর নিয়েছি পলাশ নেশাগ্রস্ত ছিল। আর নেশার কারণেই বিমান ছিনতাইয়ের মতো জঘন্য অপরাধ করেছে সে।

উল্লেখ্য, বিমানের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের ময়ূরপঙ্খি উড়োজাহাজটি (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৩৪ যাত্রী ও ১৪ ক্রু নিয়ে রোববার বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল।

ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর পরই উড়োজাহাজটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার টান টান উত্তেজনার পর উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার অবসান ঘটে।

পরে রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাত্র ৮ মিনিটের কমান্ডো অভিযানে উড়োজাহাজটিতে থাকা মাহাদী নামে অস্ত্রধারী তরুণ নিহত হন।

(সূত্র – যুগান্তর )

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

সেপ্টেম্বর ২০২৩
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« আগষ্ট    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।