“” আপনার মাস্ক কোথায়- ২০২২”” দেশব্যাপী প্রচারাভিযানে লক্ষ লক্ষ মাস্ক বিতরণ।

তৌহিদুর রহমান ফাহাদ, আমাদের ভোলা।

ভোলা, ৩১ জানুয়ারী ২০২২, সোমবার: বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় তিন দিনব্যাপী প্রচারাভিযান “আপনার মাস্ক কোথায় – ২০২২” সফলভাবে শেষ হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য ছিল সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং COVID-19 ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মাস্ক পরা মানুষের আচরণগত পরিবর্তন আনা। দারাজ অনলাইন শপিং, কনফিডেন্স গ্রুপ এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সাথে অংশীদারিত্বে এই স্বাক্ষর ক্যাম্পেইনটি জাগো ফাউন্ডেশন ও ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ উদ্যোগে করা হয়

জাগো ফাউন্ডেশনের প্রায় ৭০০০ যুব স্বেচ্ছাসেবক ২৮শে জানুয়ারী থেকে ৩১শে জানুয়ারী ২০২২ এর মধ্যে প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছিল ৬৪ জেলা । তারই ধারাবাহিকতায় ভোলা জেলার তরুণরা মাস্ক, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছে ভোলা সদর ৭টি মসজিদ, ব্যস্ত রাস্তা, গণপরিবহন, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থানে । ভোলাসহ সারা বাংলাদেশে প্রায় ১০ লক্ষ সুবিধাভোগী মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। পুরো ক্যাম্পেইনটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হয়েছে।

উক্ত তিন দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছেন ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ভোলা জেলার সভাপতি,মোঃ শাহিন,সহ-সভাপতি ঐশী দত্ত,সাধারণ সম্পাদক আল জুবায়ের, প্রজেক্ট অফিসার, তৌহিদুর রহমান ফাহাদ,পাবলিক রিলেশন অফিসার ইসমাইল, মানব সম্পদ কর্মকর্তা, শাহিন অর্থ সম্পাদক খালেদ বিন কবির, কমিটি মেম্বার,এইচ শরিফ আহমেদ, ফয়জুন,রাব্বি,স্বর্ণা মারিয়া,তামজিদ,মিমি প্রমুখ ।

JAAGO ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভি রাখসান্দ বলেছেন, “কোভিড – ১৯ কে রুখতে এবং আমাদের কাছের এবং প্রিয়জনদের নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে আমরা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আমাদেরই গ্রহণ করতে হবে। আমি প্রত্যেককে মাস্ক পরতে, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং ভিড় এড়াতে অনুরোধ করব।” দারাজের চিফ মার্কেটিং অফিসার তাজদিন হাসান বলেন, “আমাদের ব্র্যান্ডের উদ্দেশ্য হল বাণিজ্যের শক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় সম্প্রদায়কে উন্নীত করা। এই মুহুর্তে, কোভিড প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে যা একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে মাস্ক পরা একটি প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয় আমারা মাথায় রেখে সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে চেষ্টা করছি এবং এটিই “মাস্ক” সরবরাহের মাধ্যমে সুরক্ষা বজায় রাখার এই আশ্চর্যজনক প্রকল্পের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বের মূল কারণ।” কনফিডেন্স গ্রুপের বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, “আমরা মনে করি যে এখন পর্যন্ত কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এটি একটি সেরা এবং সাশ্রয়ী সমাধান। তাই মাস্ক পরার মাধ্যমে আমরা সহজেই কোভিড সংক্রমণ কমাতে পারি”। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বলেন, “কোভিড-১৯ থেকে সবাইকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। মাস্ক ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করতে পারে এবং জীবন বাঁচাতে পারে। অনুগ্রহ করে সবচেয়ে প্রতিরক্ষামূলক মাক্স পরুন যা ভালভাবে ফিট করে এবং এই মহামারী মোকাবেলায় অন্যদের এটি পরতে উৎসাহিত করুন।”

জনগণকে উৎসাহিত করার জন্য, JAAGO এই প্রচারণা আবার চালু করেছে যাতে জনসাধারণকে মাক্স পরতে এবং কীভাবে সঠিকভাবে, নিরাপদে ব্যবহার করা যায় এবং সেগুলি নিরাপদে নিষ্পত্তি করা যায় তা তুলে ধরার জন্য।

জাগো, দারাজ, কনফিডেন্স গ্রুপ এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা 2030 (SDGs) অর্জনের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তাদের কার্যক্রম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশিত বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সমান। তারা আশা করেন, তরুণদের উৎসাহ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সহায়তা করবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।