শীতের ত্রীব্রতায় ভোলায় শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে
ইয়াছিনুল ঈমন, আমাদের ভোলা.কম।
ভোলায় টানা শৈত্য প্রবাহে নিউমোনিয়া সহ শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলা সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়া আক্রান্ত অর্ধশতাধিক শিশুর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ২৪ শিশু। এছাড়াও ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৫০ জন নারী-পুরুষ। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথেই ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে জানান অভিভাবকরা ।
সরেজমিনে ভোলা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীদের ভীড়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। ডাক্তার ও সেবিকারা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে হঠাৎ করেই নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা।
এদিকে, ধারন ক্ষমতার অধিক রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে রোগী রয়েছে ৬২ জন। একই বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ থেকে ৪ জন।
ভোলা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সেবিকারা জানান, গত ৭ দিন ধরে রোগীর চাপ বেশী। এদের মধ্যে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত শিশুদের সংখ্যাই বেশী। গত ১২ দিনে এখানে ১৩৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। যাদের মধ্যে ৪১ জন নিউমোনিয়া ও ২০ জন অন্যান্য ঠান্ডাজনিত রোগী।
সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়ন থেকে আসা শিশুর অবিভাবক আব্দুল মালেক বলেন, প্রচন্ড শীতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে তার এক বছরের শিশু সন্তান। চিকিৎসাধীন রয়েছে ২ দিন ধরে।
একই এলাকার শিশু আবির হোসেন ৪ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আবিরের মা রোজিনা বলেন, শীত বাড়ার সাথে সাথে শিশুর বুকে কফ জমে আছে, সাথে রয়েছে শ্বাষ কষ্ট। হাসপাতালে আনার পর জানতে পারেন নিউমোনিয়া হয়েছে। চিকিৎসা চলছে তবে এখনো উন্নতি হচ্ছে না ।
নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু ফাহিমার বাবা জানান, শয্যা সংকটের কারনে হাসপাতালে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এখনও বাচ্চার শারিরিক উন্নতি হয়নি। একই অভিযোগ করেন আক্রান্ত শিশুর মা ইয়াসমিন, ফরিদা বেগম, তাছনুর বেগম সহ আরও অনেকে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, শৈত্য প্রবাহের কারনে শিশুরা নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, তবে গত বছরের তুলনায় এবার ভোলা সদর হাসপাতালে শিশু রোগীদের চাপ কম। শয্যা সংকট নিরসনে অতিরিক্ত ২১ টি বেড দেয়া হয়েছে।