ভোলা-বরিশাল ঘুরে ঢাকার পঙ্গুতে পা হারানো কহিনুর
কাজী মহিবুল্লাহ আজাদ, আমাদের ভোলা।
দৌলতখান লঞ্চঘাটে ফারহান-৫ লঞ্চের আঘাতে পা হারানো কহিনুর বেগমকে ভোলা এবং বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হলেও সেখানে রাখা হয়নি। তাকে এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে কহিনুর বেগমের অপারেশন করা হবে।
ফারহান-লঞ্চের আঘাতে পা হারানো কহিনুর বেগমের ছেলে মহসিন ভোলা প্রতিদিন কে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল থেকেই ফারহান কর্তৃপক্ষ আহত কহিনুর বেগমের চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছে। বরিশালে এবং ঢাকায় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ লোক পাঠিয়েছে, যোগাযোগ করেছে।
মহসিন জানান, তার মা আহত কহিনুর বেগম লঞ্চঘাটে একা ছিলেন। পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও সেখানে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে দুজন লোক তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এর আগে শনিবার দৌলতখান থানার এসআই জাহিদ ভোলা প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, লঞ্চ ঘাটে ভেড়ানোর পর ওই নারী পন্টুনে ছিলেন। এসময় লঞ্চ কিছুটা পেছন দিকে গেলে আবার সামনের আনার সময় লঞ্চের সাথে ওই নারী ধাক্কা খান। এসময় সঙ্গে সঙ্গে তার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
দৌলতখান থানার ডিউটি অফিসার বলেন, বাদী না থাকায় এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে ভুক্তভোগী বা তার পক্ষে কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে তা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে কহিনুর বেগমের অপারেশনের ও পজিটিভ রক্ত লাগবে বলেও জানান তার ছেলে মহসিন।