ভোলায় ভয়ংকর রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার
কাজী মহিবুল্লাহ আযাদ, আমাদের ভোলা.কম।
বিশ্বে ‘কিলিংমেশিন’ হিসেবে খ্যাত ভয়ঙ্কর বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করেছে ভোলার বন বিভাগের কর্মীরা। আক্রমণের ক্ষিপ্রগতি ও বিষের তীব্রতার কারণে সাপটি ‘কিলিংমেশিন’ হিসেবে পরিচিত।
বিরল প্রজাতির সাপটি উদ্ধারের পর শুক্রবার দুপুরে চরফ্যাসনের চর কুকরি-মুকরির গহীন অরণ্যে বন বিভাগ এটিকে অবমুক্ত করে।
এর আগে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের দিঘিরপার এলাকার পণ্ডিত বাড়ির কৃষক শফিক হোসেনের সবজিক্ষেত থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত এক বছরে ভোলায় ৫টি রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, ৫ ফুট লম্বা ও মোটা আকৃতির অজগর সাপের মতো দেখতে সাপটি সবজিক্ষেতের পাশে থাকা জালের সাথে আটকে যায়। এসময় স্থানীয়রা বন বিভাগে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভোলা সদর উপজেলা বন কর্মকতা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটি বিষধর রাসেল ভাইপার বলে সনাক্ত করে। এরপর সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ভোলা সদর উপজেলা বন কর্মকতার মো. কামরুল ইসলাম জানান, ‘সাপটি অনেকটা অজগরের মতো দেখতে হলেও এটি আসলে পৃথিবীর অন্যতম বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। ভোলার ইলিশা ও ধনিয়া ইউনিয়ন থেকে এনিয়ে ৫টি রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ।
এ প্রজাতির সাপ দেখলে না মেরে বন বিভাগে খবর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর মনিরুল খান ই-মেইলে ছবি দেখে সাপটি রাসেল ভাইপার বলে নিশ্চিত করেন।
মুঠোফোনে জানান, আক্রমণের ক্ষিপ্রগতি ও বিষের তীব্রতার কারণে রাসেল ভাইপার ‘কিলিংমেশিন’ হিসেবে পরিচিত। একে বাংলায় চন্দ্রবোড়া বলা হয়। সাধারণত দেশের উত্তরাঞ্চল তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের পদ্মা ও যমুনার চরে সাপটির বেশি দেখা মিলে। তবে বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের সব অঞ্চলে এর বিচরণ রয়েছে। মোবাইল ফেসবুকের কারণে বিষয়টি এখন পরিষ্কার হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, রাসেল ভাইপার ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ হলেও একে আঘাত না করলে ক্ষতি করে না। তাই এ ধরনের সাপ দেখলে একে ধরতে যাওয়া অথবা আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ সাপে কামড়ালে ওঝা-বদ্য না ডেকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে ‘এন্টি ভেনম’ ভেকসিন দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।