চরফ্যাশন নজরুল নগরে প্রতারক দিপুর যত অপকর্ম
এম আবু সিদ্দিক , বিশেষ প্রতিনিধি:
আশ্রাফুল ইসলাম দিপু ও তার সহযোগী মোহাম্মদ আলীর শত অপকর্মের ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে৷
চরফ্যাশন উপজেলার নজরুল নগর ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজারের মতু ফকিরের ছেলে প্রতারক আশরাফুল ইসলাম দিপুকে নিয়ে সম্প্রতি ডিবিসি এবং চ্যানেল ২৪ নিউজ করার পর থেকে দক্ষিণ আইচার নজরুল নগরের সব বাজারে বাজারে বাটপার দিপুকে নিয়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনা। সবার মুখে একটাই কথা এ যেনো আরেক রিজেন্টের সাহেদ করিম।
এতদিন তার বিরুদ্ধে কেউ সাহসে মুখ খুলতে পারনি৷ সাধারণ মানুষ এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে।
দিপুর নিজ এলাকায় মাদক, দেহ ব্যবসা ছিলো তার নিজের দখলে।
দিপুর মাদক ব্যবসার পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করতো এলাকায় দিপুর ডান হাত হিসেবে পরিচিত নজরুল নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী।
মোঃ আলী একজন চিন্তিত মাদক ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে নজরুল নগর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় , মোহাম্মদ আলি মূলত আগে শিবিরের কর্মি ছিলো,হঠাৎ করে ২০১৪ সাল থেকে ছাত্রলীগের খাতায় নাম লিখেয়ে হয়ে যান নজরুল নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারক দিপু নিজ এলাকার প্রায় অর্ধশত মানুষের কাছে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে,এই টাকা গুলো লেনদেন হতো মোহাম্মদ আলীর ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে। চাকুরীর জন্য যারা টাকা দিতো তাদেরকে প্রথমে মোহাম্মদ আলী মেনেজ করতো,
পরবর্তীতে মোঃ আলীর ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হতো৷
প্রতারক দিপু গা ঢাকা দেয়ার পর থেকে তার ডান হাত মোহাম্মদ আলীও এখন পলাতক।মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে দক্ষিণ আইচা থানা ছাত্রলীগও বির্তকিত।
দক্ষিণ আইচা থানা ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায় দিপুর সাথে সংশ্লিস্টতার ঘটনায় অচিরেই তদন্ত করে মোহাম্মদ আলীকে বহিস্কার করা হবে৷
প্রতারক বাটপার দিপু মাত্র ২০ বছর বয়সে কোটি টাকার মালিক৷ তার বাবা মতু ফকির বাবুরহাট এলাকায় একজন খামারী ছাগল পালক ও সামান্য দিনমজুর।দিপুর ঘটনা যেন
বাংলা সিনেমাকেও হার মানায়,
আশরাফুল ইসলাম দিপুকে এলাকায় স্থানীয় কিছু সরকার দলীয় নেতারা শেলটার দিতো,এমনকি তারা দিপুর অসৎ ও অবৈধ উপার্জনের টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।
দিপুর মাদকের মার্কেটিং টিমে কাজ করতো স্থানীয় ০৩ নং ওয়ার্ডের এক যুবলীগ নেতা৷ তার পুরো পরিবার ছিলো বিএনপি, হঠাৎ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্থানীয় কিছু সুবিধাভূগি নেতাদের হাত ধরে হয়ে যান যুবলীগ নেতা।দিপুর সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর যুবলীগের ঐনেতা হয়ে যান এলাকার ক্ষমতাধর ব্যক্তি৷ এলাকায় তার অপকর্মের শেষ নেই।খাস জমি থেকে শুরু করে, দেহ ব্যবসা সব কিছুর সাথে দিপুর ডান হাত মোহাম্মদ আলীর সাথে সেও জড়িত।
নজরুল নগরের সবাই এখন প্রতারক দিপু এবং দিপুর সহযোগীদের বিচার চায়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক এক ইউপি সদস্য স্থানীয় এই আওয়ামী লীগ নেতাও দিপুর ডানহাত সাবেক শিবির নেতা মোহাম্মদের দ্বারা লাঞ্ছিত এবং অপমানিত। চরকলমী ইউনিয়ন আ’লীগের সহসভাপতি কামাল হোসেন আজ রবিবার সেলফোনে বলেন,দিপু এত কম বয়সে এতবড় প্রতারক আমরা এলাকবাসি বিশ্বাস করছে পারছিনা৷তবে তার চলাফেরায় অসংগতি লক্ষ্য করেছে অনেকে৷সামান্য একজন দিনমুজুরের ছেলে এত বড় প্রতারক তা এলাকার মানুষ বিশ্বাস করতেই পারছেনা৷