চরফ্যাশনে আবাসিক হোটেলে গৃহবধূ ধর্ষনের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশন হাসপাতাল সড়কে আবাসিক হোটেলে সেবা-তে রেখে এক গৃহবধূকে ধর্ষনের অভিযোগে চরফ্যাশন থানায় তিনজনকে আসামিকে করে মামলা হয়েছে।ধর্ষক ও তার সহযোগী আরও দু’জনের নামে সোমবার দুপুরে ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে চরফ্যাশন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মামলাটি এফআইআর ভূক্ত করে। মামলার আসামিরা হলেন, চরফ্যাশন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমির হোসেন ব্যাপারীর ছেলে সোহাগ (২৫) বোরহান উদ্দিন উপজেলার কুঞ্জেরহাট কাঁচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নাগর পাটোয়ারীর ছেলে পারভেজ ও নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার রসুলপুর ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আজমল হোসেনের ছেলে মোতালেব।

এই ঘটনায় প্রধান আসামিসহ পুলিশ তিনজনকে হোটেল থেকে আটক করে।তাদেরকে সোমবার বিকালে দুপুরে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়,গত ৩ অক্টোবর লালমোহন উপজেলার স্বর্ণালী সড়কের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মুজিব নগর ইউনিয়নের সোহাগের সাথে মোবাইল ফোনে দীর্ঘদিন কথপোকথন হয়। এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে গত ৩রা অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় চরফ্যাশনে নিয়ে আসে এবং রাতে হাসপাতাল সড়কের সেবা হোটেলে নিয়ে যায়। তার অপর দুই সহযোগির সহায়তায় গভীর রাতে সোহাগ হোটেলের ২১নং কক্ষে গিয়ে বিয়ের আশ্বাসে সোহাগ তার সাথে জোরপুর্বক শাররিক মেলামেশা করে।
তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়।এরপরের দিন সোহাগকে বিয়ের কথা জানালে সে কালক্ষেপন করে। হোটেলের ম্যানেজার মোতালেব ও পারভেজ সোহাগকে সহায়তা করে এই ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়।গৃহবধু কৌশলে হোটেল সেবা থেকে পালিয়ে থানার আশ্রয় নেয়।এরপরে মামলার অভিযোগ দিলে পুলিশ আসামীদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন বলেন, গৃহবধূর সঙ্গে মোবাইলে সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক হয়। গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে আসার পরে এই ঘটনার সুত্রপাত।
এই ঘটনায় গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দিলে সোহাগসহ তার অপর দুই সহায়তাকারীকে পুলিশ আটক করে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।