নুসরাত হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন

কাজি মহিবুল্লাহ আযাদ, অমাদের ভোলা.কম।

ফেণীর সোনাগাজির মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপিড়ন ও আগুনে পুরিয়ে হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন করেছে ইমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটি। ভোলা সদর রোডে কে-জাহান মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্ত্যব রাখেন ভোলা জেলা ইমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির সহ-সভাপতি মাও: নুরে আলম, সাধারন সম্পাদক মাও: তাজউদ্দিন ফারুকি, এনশিওর ল্যান্ডমার্কের ভাইস চেয়ারম্যান মাও: ওবায়েদ বিন মোস্তফা, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা সাধারন সম্পাদক মাও: তরিকুল ইসলাম, মাও: আতাউর রহমান মোমতাজী, মাও: নুরল আমিন আশ্রাফি, ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক হাফেজ মাও: ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
এসময় বক্তরা নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপিরন ও আগুনে পুরিয়ে হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত মাদরাসার অধ্যক্ষ লম্পট সিরাজ-উদ-দ্দৌল সহ সকলের বিচার দাবি করে বলেন, বাংলাদেশে ইতিপূর্বে তনু, মিতু, সাগর-রুনিসহ বিভিন্ন হত্যাকান্ড হয়েছে। দিনাজপুরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। রাস্তার পাগলকে ধর্ণল করে সন্তানের মা বানানো হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কি বিচার হয়েছে ? তা কেউ বলতে পারে না। ঘটনার কয়েক দিন মিডিয়াসহ দেশে আলোচনা হয়, এরপর সবাই ঘটনাটি ভুলে যায়। বিচারের নামে বিলম্বিত হচ্ছে বিচারের কাজ। ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নির্যাতিত ও নিপীড়িত পরিবারগুলোর সদস্যরা। নানা ছলে-বলে, কলা-কৌশলে অপরাধি পার পেয়ে যায়। যার কারণে কেউ অপরাধকে কেউ অপরাধ মনে করছে না।

এ সময় বক্তরা জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকারমের সামনে প্রকাশ্যে লম্পট সিরাজ-উদ-দ্দৌলার ফাঁসি দাবি করে বলেন, যদি এসমস্ত ঘটনার প্রকাশ্যে বিচার করা হয়, মুল অপরাধিকে শাস্তির আওতায় আনা হয়, তাহলে এ ধরনের অপরাধ অনেকটা কমে যাবে।
মানববন্ধন শেষে দোয়া মুনাজাত অনুস্থিত হয়। দোয়া মুনাজাতে রাফি, তনু, মিতুসহ যারা এই সমস্ত ঘটনায় শহীদ হয়েছে তাদের রুহের মাগফেরাত, দেশেরে শান্তি ও অপরাধিদের ধ্বংস কামনা করে দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন ভোলা ইমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির সহ-সভাপতি মাও: নুরে আলম।

ফেসবুকে লাইক দিন

আর্কাইভ

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

সর্বমোট ভিজিটর

counter
এই সাইটের কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ!
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।